অনলাইন ইনকাম

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়

বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনেকেই চাচ্ছেন একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস তৈরি করতে, যাতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উপার্জন করা যায়। বিশেষ করে যারা ৫০ হাজার টাকার মতো একটি মূলধন হাতে পেয়েছেন,

তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় সম্ভব? বিনিয়োগের ক্ষেত্র যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তেমনি সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করাও সম্ভব।

এই ব্লগে আমরা জানব কিভাবে ৫০ হাজার টাকাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দৈনিক ১ হাজার টাকার মতো আয় করা যেতে পারে সেই সম্পর্কে।

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?

নিম্নে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. ফেসবুক পেজে অনলাইন প্রোডাক্ট বিক্রি

আপনি ৫০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ফেসবুকে একটি অনলাইন শপ খুলতে পারেন। যেমনঃ মেয়েদের কসমেটিকস, কুর্তি, টি-শার্ট, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি।

পণ্যের ছবি ও ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকে বুস্টিং দিলে সহজেই অর্ডার আসবে। পণ্যের উপর লাভ ২০০-৩০০ টাকা হলে দিনে ৫টি বিক্রি করলেই ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

২. হোম কিচেন ও খাবার ডেলিভারি সার্ভিস

আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন, তাহলে হোম কিচেন চালু করে অফিস এলাকায় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করতে পারেন।

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিচেন সেটআপ, প্রাথমিক উপকরণ এবং কিছু বক্স কিনে শুরু করা যায়। দিনে ২০-২৫টি খাবার বিক্রি করে সহজেই ১,০০০ টাকার বেশি লাভ করা সম্ভব।

৩. ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ শুরু

আপনার যদি ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং বা ওয়ার্ডপ্রেসে দক্ষতা থাকে, তাহলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ভালো ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে ঘরে বসেই ফাইভার,

আপওয়ার্ক বা মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যে ক্লায়েন্ট পেলে প্রতিদিন ১,০০০ টাকা বা তার বেশি আয় সম্ভব।

৪. রিচার্জ ও বিকাশ/নগদ/রকেট এজেন্ট পয়েন্ট

আপনার এলাকায় যদি মোবাইল রিচার্জ ও অর্থ লেনদেনের চাহিদা থাকে, তাহলে একটি ছোট দোকানে বিকাশ, নগদ, রকেট ও মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এজেন্ট কমিশনের মাধ্যমে দিনে ৩০-৪০টি লেনদেন হলেই আপনি ১,০০০ টাকার আশেপাশে আয় করতে পারবেন।

৫. ইউটিউব ভিডিও তৈরি ও মনেটাইজেশন

আপনার যদি ভিডিও তৈরির দক্ষতা থাকে, তাহলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমন রান্না, শিক্ষা, ভ্রমণ) ইউটিউব চ্যানেল খুলে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকায় একটি ভালো মোবাইল, মাইক্রোফোন ও লাইট কিনে শুরু করা যায়।

নিয়মিত ভিডিও দিলে মনেটাইজেশন হয়ে গেলে আয় শুরু হবে, এবং সফল হলে দিনে ১,০০০ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

৬. ব্যবহৃত ফোন/ইলেকট্রনিক্স ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসা

লোকাল মার্কেট বা অনলাইন সোর্স থেকে ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ বা গ্যাজেট কিনে তা রিফারবিস করে অনলাইনে বা লোকাল মার্কেটে বিক্রি করা যেতে পারে। প্রতিটি পণ্যে ৫০০–১,৫০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে, ফলে দিনে ১-২টি বিক্রিতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য।

৭. টেলিকম রিপারিং সার্ভিস (মোবাইল/কম্পিউটার)

আপনি যদি মোবাইল বা ল্যাপটপ সার্ভিসিং জানেন, তাহলে ৫০ হাজার টাকায় একটি ছোট সার্ভিসিং দোকান খুলতে পারেন। প্রয়োজনীয় টুলস কিনে, প্রতিদিন ৫-১০টি ডিভাইস সার্ভিস দিয়ে দিনে ১,০০০ টাকার বেশি আয় করা যায়।

৮. ছোট স্কেলের প্রিন্টিং ও ডিজাইন সার্ভিস

আপনি চাইলে একটি কালার প্রিন্টার, ল্যামিনেশন মেশিন ও কম্পিউটার কিনে আইডি কার্ড, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। স্কুল, কোচিং সেন্টার ও অফিস এলাকায় এই সেবা চাহিদা অনেক বেশি।

৯. গ্রাফিক ডিজাইন ও কাস্টম প্রোডাক্ট প্রিন্টিং

অনলাইন কাস্টম ডিজাইন করা টি-শার্ট, কাপে প্রিন্ট, কুশন কাভার প্রিন্ট ব্যবসা এখন খুব জনপ্রিয়। ৫০ হাজার টাকায় হিট প্রেস ও কাঁচামাল কিনে শুরু করা যায়। প্রতিদিন ৫-১০টি অর্ডার পেলে ১,০০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব।

১০. ঘরে বসে অনলাইন কোর্স/প্রাইভেট টিউশন

আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে অনলাইন জুম/গুগল মিটে ক্লাস নিতে পারেন বা ছোটদের পড়াতে পারেন। দিনে ৩-৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে ৪-৫ জন ছাত্র পড়ালে প্রতিদিন ১,০০০ টাকার বেশি আয় হতে পারে।

১১. পল্ট্রি বা কোয়েল পাখির ছোট খামার

আপনি চাইলে বাড়ির আঙিনায় বা গ্রামে একটি ছোট পোল্ট্রি বা কোয়েল পাখির খামার শুরু করতে পারেন।

৫০ হাজার টাকায় খাবার, বাচ্চা পাখি, খাঁচা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী কেনা সম্ভব। বিক্রয় চেইন তৈরি হলে প্রতিদিন ডিম বিক্রির মাধ্যমে সহজেই ৮০০–১,২০০ টাকা আয় হতে পারে।

১২. দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসা

একটি গাভী বা ছাগল কিনে দুধ সংগ্রহ করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া দই, ঘি, ছানা ইত্যাদি তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করতে পারেন। প্রতিদিনের দুধ থেকে ১,০০০ টাকারও বেশি আয়ের সম্ভাবনা থাকে।

১৩. ফুল বা চারা বিক্রির দোকান

বাসার ছাদে বা আঙিনায় চারা উৎপাদন করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে পারেন। টব, সার, চারা কিনে শুরু করতে ২০–৩০ হাজার টাকা যথেষ্ট। স্থানীয় বাজারে ফুল বা গাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় নিয়মিত আয় সম্ভব।

১৪. চটজলদি খাবারের (ফাস্টফুড) দোকান

একটি ছোট ফাস্টফুড স্টল (স্ন্যাকস, চা, সিঙ্গারা, সমোসা) দিয়ে দোকান চালু করলে প্রতিদিন শতাধিক বিক্রি সম্ভব। কাঁচামাল, হাঁসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে লোকেশন থাকলে প্রতিদিন ১,০০০+ টাকা লাভ নিশ্চিত।

১৫. মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রির ক্ষুদ্র দোকান

মোবাইল কেস, গ্লাস প্রটেক্টর, চার্জার, ইয়ারফোন, হেডফোন ইত্যাদি কিনে দোকানে বিক্রি করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা সহজ, এবং প্রতিদিন ২০-৩০টি বিক্রির মাধ্যমে ভালো আয় হতে পারে।

১৬. অনলাইন রিচার্জ ও বিল পেমেন্ট সার্ভিস

আপনি চাইলে ঘরে বসে বিকাশ/নগদ/রকেট ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, মোবাইল রিচার্জ, ফ্লেক্সিলোড, টিভি বিল ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন। প্রতিটি লেনদেনে কমিশন পেয়ে দিনে ৫০–১০০টি ট্রান্সেকশন করলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব।

১৭. ছবি এডিটিং ও পাসপোর্ট/স্টুডিও সার্ভিস

ছোট ক্যামেরা ও প্রিন্টার নিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি, স্ক্যানিং, লেমিনেশন, অনলাইন ফর্ম পূরণ সার্ভিস শুরু করা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বাজার এলাকায় এই সেবার ভালো চাহিদা থাকে।

১৮. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি (ঘরে বসে শুরু)

আপনি যদি ফেসবুক বুস্টিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝে থাকেন, তাহলে স্থানীয় দোকান ও ব্র্যান্ডদের মার্কেটিং সার্ভিস দিতে পারেন। প্রতিটি প্রজেক্টে ২,০০০–৫,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

১৯. খেজুর, মধু বা মৌসুমি পণ্যের অনলাইন বিক্রি

সিজনাল পণ্য যেমন: খেজুর, মধু, আম, লিচু ইত্যাদি সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। লাভের পরিমাণ বেশি, এবং ১০-১৫টি অর্ডারেই দৈনিক ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

২০. পশুখাদ্য বা কৃষিপণ্যের খুচরা ব্যবসা

গ্রামীণ এলাকায় পশুখাদ্য (ভুষি, খৈল, চালের কুড়া) বা সার/বীজ বিক্রির দোকান খুলে স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করলে নিয়মিত আয় হয়। পণ্যগুলোর কমিশন ভালো থাকে, ফলে দৈনিক বিক্রিতে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

২১. অনলাইন কাস্টম গিফট আইটেম বিক্রি

হ্যান্ডমেড কাস্টম গিফট (মগ, পিলো, টি-শার্ট, ফটো ফ্রেম) তৈরি করে ফেসবুক বা অনলাইন শপে বিক্রি করতে পারেন।

৫০ হাজার টাকায় প্রিন্টিং উপকরণ ও মালামাল কিনে ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রতি অর্ডারে ২০০–৩০০ টাকা লাভ, দিনে ৪–৫টি বিক্রিতে ১,০০০ টাকা আয়।

২২. নেইল আর্ট ও বিউটি সার্ভিস (হোম ভিত্তিক)

আপনি যদি নেইল আর্ট, মেহেদি বা বিউটি পার্লারের কাজ জানেন, তবে ঘরে বসেই নারীদের এই সার্ভিস দিতে পারেন। সামান্য প্রসাধনী ও সাজসজ্জার জিনিস কিনে শুরু করা যায়। প্রতিদিন ৩-৪ জন ক্লায়েন্ট পেলেই ১,০০০+ টাকা ইনকাম সম্ভব।

২৩. অনলাইন রিসেলিং বিজনেস (ড্রপশিপিং পদ্ধতিতে)

আপনি নিজে পণ্য কিনে না রেখে, অন্য বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য রিসেল করতে পারেন। ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে পেজ খুলে প্রোডাক্ট শেয়ার করলে অর্ডার পেলে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে লাভ নিতে পারেন। এতে পুঁজি কম লাগে, রিটার্ন বেশি।

২৪. কম্পিউটার ট্রেনিং বা কোচিং সেন্টার

আপনি যদি এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ডিজাইনিং জানেন, তাহলে ১-২টি কম্পিউটার দিয়ে বাসাতেই কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন। দিনে ২-৩ ব্যাচে ৫-১০ জন শিক্ষার্থী পড়ালে ১,০০০ টাকার বেশি আয় সম্ভব।

২৫. অনলাইন ডেলিভারি/কুরিয়ার পার্সেল এজেন্ট হওয়া

দেশীয় কুরিয়ার কোম্পানির (Pathao, RedX, Paperfly) পার্টনার হয়ে অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের ছোট হাব খুলতে পারেন। প্রতিটি পার্সেলে কমিশন পাওয়া যায়, দিনে ৩০-৪০টি পার্সেল হ্যান্ডল করলেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য।

২৬. হস্তশিল্প বা কারুশিল্প তৈরি ও বিক্রি

হস্তশিল্প যেমনঃ জুট ব্যাগ, শোপিস, কুশন কাভার, কাঁথা, নকশিকাঁথা তৈরি করে মেলা, ফেসবুক বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিটি আইটেমে ভালো লাভ থাকায় নিয়মিত অর্ডার পেলে আয় নিশ্চিত।

২৭. স্টক ফটোগ্রাফি ও ডিজিটাল অ্যাসেট বিক্রি

আপনার যদি ফটোগ্রাফি বা ডিজাইনিংয়ের স্কিল থাকে, তাহলে ফ্রিতে ছবি তুলে বা ডিজাইন তৈরি করে সেগুলো Shutterstock, Adobe Stock, Freepik ইত্যাদি সাইটে বিক্রি করতে পারেন। প্রতি ডাউনলোডে অর্থ আসে। ধীরে ধীরে প্যাসিভ ইনকামের উৎস হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স থেকে আয় | গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

২৮. গ্রামে মোবাইল সার্ভিসিং ও রিচার্জ দোকান

গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন রিচার্জ, রক্ষণাবেক্ষণ, ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ সেবার চাহিদা প্রচুর। একটি ছোট দোকান খুলে এই সব সার্ভিস দিলে প্রতিদিন ৭০-১০০ লেনদেনের মাধ্যমে ১,০০০ টাকার বেশি ইনকাম করা যায়।

২৯. মিনি গ্রোসারি দোকান (ঘর ভিত্তিক)

আপনি নিজের বাড়িতে ছোট একটি মুদি দোকান খুলতে পারেন। চিনি, চা পাতা, সাবান, বিস্কুট, মসলা ইত্যাদি পণ্য দিয়ে। ৫০ হাজার টাকায় প্রাথমিক স্টক তোলা সম্ভব। লোকাল ক্রেতাদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ভালো বিক্রি হওয়া সম্ভব।

৩০. ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পুরাতন পণ্যের ব্যবসা

অনেকেই পুরাতন ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স, বাইসাইকেল ইত্যাদি কম দামে বিক্রি করে। আপনি সেগুলো সংগ্রহ করে একটু রিফারবিস করে ফেসবুকে বিক্রি করতে পারেন। প্রতি আইটেমে ৫০০–২,০০০ টাকা লাভ পাওয়া যায়।

৩১. ফুড ডেলিভারি সার্ভিস (লোকাল হোম কুক ফুড)

আপনি যদি রান্না জানেন, তাহলে হোমমেড খাবার তৈরি করে অফিস, কোচিং সেন্টার বা ছাত্রাবাসে নিয়মিত সরবরাহ করতে পারেন।

৫০ হাজার টাকায় কিচেন সেটআপ, কিছু কন্টেইনার, ও প্রথম দফার উপকরণ কেনা সম্ভব। দিনে ২০–৩০টি খাবার বিক্রি করলে সহজেই লক্ষ্য পূরণ হয়।

৩২. ফ্লাওয়ার বুকেট বা গিফট প্যাকেজিং ব্যবসা

ফুল, চকলেট, কার্ড ও উপহারের আইটেম দিয়ে কাস্টমাইজড গিফট বুকেট বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করুন। জন্মদিন, এনিভারসারি, ভালোবাসা দিবসে ব্যাপক চাহিদা থাকে। লাভের মার্জিন ভালো, দিনে কয়েকটি অর্ডারই যথেষ্ট।

৩৩. হস্তলিখিত ক্যালিগ্রাফি ও ডিজাইনিং সার্ভিস

আপনি সুন্দর লিখতে জানলে হ্যান্ডলেটারিং/ক্যালিগ্রাফি করে চাহিদামতো কাস্টম কন্টেন্ট (ফ্রেম, উক্তি, ইনভাইটেশন) তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি ক্রিয়েটিভ ও লাভজনক ঘরোয়া উদ্যোগ।

৩৪. ছোট কাপড়ের ব্যবসা (থ্রি-পিস, গামছা, বাচ্চার পোশাক)

স্থানীয় পাইকারি মার্কেট থেকে সাশ্রয়ী দামে থ্রি-পিস, গামছা, পাঞ্জাবি বা বাচ্চাদের জামা কিনে স্থানীয়ভাবে বা অনলাইনে বিক্রি করুন। প্রতি আইটেমে ১০০–৩০০ টাকা লাভ পেলে দিনে ১০–১৫টি বিক্রিই যথেষ্ট।

৩৫. ইউটিউব শর্ট ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি

আপনার যদি কোনো স্কিল, রান্না, শিক্ষা, কমেডি বা ভ্রমণ নিয়ে ভিডিও করার আগ্রহ থাকে, তাহলে স্মার্টফোন ও অল্প কিছু গ্যাজেট দিয়ে শুরু করতে পারেন। সময়ের সাথে ইউটিউব থেকে মনিটাইজড আয়ে পরিণত হবে।

৩৬. ফ্লিপিং বিজনেস (ক্রয়-বিক্রয়)

লোকাল মার্কেট বা অনলাইন গ্রুপ থেকে পুরাতন মোবাইল, ঘড়ি, ব্যাগ, জুতা কিনে পরিষ্কার করে বা অল্প মেরামত করে পুনরায় বিক্রি করলে লাভ পাওয়া যায়। ৫০ হাজার টাকায় ৫–১০টি আইটেম কিনে শুরু করা সম্ভব।

৩৭. ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং

আপনি যদি ইংরেজি বা বাংলা ভালো লিখতে পারেন, তাহলে ব্লগ লেখা, প্রোডাক্ট রিভিউ, স্ক্রিপ্ট রাইটিং-এর মাধ্যমে Fiverr, Upwork বা লোকাল ক্লায়েন্টদের থেকে আয় শুরু করতে পারেন। কোনো বড় খরচ নেই, একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটই যথেষ্ট।

৩৮. ব্যক্তিগত টিউশন সেন্টার (হোম বেইজড)

আপনি নিজেই ছোট একটি টিউশন সেন্টার চালু করতে পারেন। প্রতি ব্যাচে ৮–১০ জন করে একাধিক ব্যাচ নিলে প্রতিদিন ১,০০০–১,৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। খরচ বলতে কিছু চেয়ার, বোর্ড ও পাঠ্যবই।

৩৯. ছোট হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ সেন্টার (নারীদের জন্য)

সেলাই, এমব্রয়ডারি, কাগজের ফুল, বুটিক ডিজাইন শেখানোর জন্য বাড়িতে ছোট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে দিতে পারেন। ৫০ হাজার টাকায় প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনা ও ১–২ মাসের প্রচারণা চালানো সম্ভব।

৪০. বই বা স্টেশনারি বিক্রির ক্ষুদ্র দোকান

স্কুল/কোচিং এর পাশে পেন্সিল, খাতা, কলম, বইয়ের দোকান দিয়ে প্রতিদিনের ছাত্রছাত্রীদের সরবরাহ করা যায়। প্রতি পণ্যে ২০–৩০% লাভ পাওয়া যায়। ক্রমবর্ধমান বিক্রয়ে প্রতিদিন ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

৪১. লোকাল টেইলরিং সার্ভিস (ঘরভিত্তিক পোশাক সেলাই)

একটি সেলাই মেশিন ও কিছু কাপড় কাটিং টুলস দিয়ে ঘরে বসেই সেলাইয়ের কাজ শুরু করা যায়। পোষাক সেলাইয়ের চাহিদা প্রচুর। দিনে ৫-৬টি কাপড় সেলাই করলে সহজেই ১,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

৪২. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি

আপনার যদি কোনো দক্ষতা থাকে যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইংরেজি শেখানো। তাহলে ভিডিও আকারে কোর্স বানিয়ে Udemy, YouTube Membership বা Facebook Page এ বিক্রি করতে পারেন। এটি প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম ভালো উৎস।

৪৩. ফোন কভার/মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি অনলাইনে

কম দামে পাইকারি ফোন কভার, চার্জার, হেডফোন কিনে ফেসবুকে রিসেল করুন। ৫০ হাজার টাকায় ভালো স্টক তোলা সম্ভব এবং প্রতিটি পণ্যে ৫০–২০০ টাকা লাভ হয়।

৪৪. সাইকেল রেন্টাল সার্ভিস (ছাত্র এলাকা বা পর্যটন স্পট)

শহরের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বা ভ্রমণ এলাকায় কয়েকটি সাইকেল কিনে ভাড়া দিতে পারেন। প্রতিটি সাইকেল দিনে ২০০–৩০০ টাকা ভাড়ায় যেতে পারে। ৪-৫টি সাইকেল থাকলে দৈনিক ইনকাম লক্ষ্যের বেশি হবে।

৪৫. ছোট শিশুদের প্রাইভেট ডে-কেয়ার সার্ভিস

আপনি যদি বাচ্চা সামলাতে পারদর্শী হন, তবে ঘরে শিশুদের সাময়িকভাবে রাখার সেবা দিতে পারেন (ডে কেয়ার)। কর্মজীবী মা-বাবারা এই সার্ভিসের জন্য ভালো অঙ্কে টাকা দেন। দিনে ৫–৬ জন শিশু থাকলেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য।

৪৬. ইভেন্ট ডেকোরেশন (বেলুন, ব্যানার, স্টেজ)

ছোট জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য বেলুন ও ডেকোরেশন সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়। অল্প মূলধনে কিছু সরঞ্জাম কিনে কাজ শুরু করা যায়। প্রতিটি প্রজেক্টে ১,০০০–৩,০০০ টাকা আয় সম্ভব।

৪৭. ঘরে তৈরি মিষ্টি বা ফাস্টফুড বিক্রি

বিকেলে বাড়িতে তৈরি সিঙ্গারা, সমুচা, জিলাপি, পিঠা, চপ তৈরি করে হকার বা নিজে বিক্রি করতে পারেন। ছোট দোকান না খুলেও ভালো আয় করা সম্ভব। দিনে ২০০–৩০০টি বিক্রিতে সহজেই ১,০০০+ টাকা লাভ।

৪৮. ছোট প্রিন্টিং ব্যবসা (ফটো কপি, আইডি কার্ড, ল্যামিনেশন)

একটি প্রিন্টার-স্ক্যানার ও কম্পিউটার দিয়ে স্কুল, কলেজ এলাকায় ফটো কপি, ল্যামিনেশন, ছবি প্রিন্ট, ফর্ম ফিল-আপের সার্ভিস দিতে পারেন। দিনে অনেক শিক্ষার্থী এমন সেবা নেয়।

৪৯. ফেসবুক বা ইউটিউব লাইভে পণ্য বিক্রি

লাইভে এসে কাপড়, গহনা, ব্যাগ, প্রসাধনী পণ্য দেখিয়ে বিক্রি করার ট্রেন্ড খুব জনপ্রিয়। ফেসবুক পেজ খুলে লাইভে গিয়ে পণ্য বিক্রি করলে দ্রুত অর্ডার পাওয়া যায়। দিনে ১০-১৫ অর্ডারেই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ।

৫০. অর্গানিক ফার্মিং ইন পট (টব বা ব্যাগে সবজি চাষ)

শহরে ছাদবাগানে অর্গানিকভাবে শাকসবজি উৎপাদন করে বেচা যায়। ৫০ হাজার টাকায় পট, সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কেনা সম্ভব। স্থানীয় হাটে বা বাসার সামনে বিক্রি করলে লাভজনক হয়।

আরও পড়ুনঃ টাইপিং করে টাকা ইনকাম | টাইপিং জব ওয়েবসাইট

৫১. ঘরে বসে কেক ও পেস্ট্রি ব্যবসা

আপনি যদি বেকিং জানেন, তাহলে বাসায় কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি বানিয়ে ফেসবুকে অর্ডার নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। জন্মদিন, পার্টি বা গিফট প্যাকেজে কেকের চাহিদা অনেক বেশি। দিনে ৪-৫টি কেক বিক্রি করলেই আয় নিশ্চিত।

৫২. ছবি আঁকা ও ফ্রেম বিক্রি

আপনার যদি চিত্রাঙ্কনের দক্ষতা থাকে, তাহলে দেয়াল চিত্র, ক্যালিগ্রাফি আর্ট বা নামের ডিজাইন তৈরি করে ফ্রেম করে বিক্রি করতে পারেন। এটি সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা, বিশেষত কাস্টম অর্ডারের ক্ষেত্রে লাভ ভালো।

৫৩. গৃহস্থালির পরিষ্কারক পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি

ফিনাইল, লিকুইড সাবান, টয়লেট ক্লিনার ইত্যাদি তৈরি করে হোটেল, দোকান, বাসাবাড়িতে সরবরাহ করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকায় কাঁচামাল ও বোতল কিনে ছোট লটে উৎপাদন শুরু করা যায়।

৫৪. ছোট গিফট শপ/স্টল খুলে বিক্রি

স্কুল, কলেজ বা বাজার এলাকায় ছোট একটি গিফট শপে চকলেট, কার্ড, খেলনা, প্রসাধনী ও গিফট আইটেম বিক্রি করে প্রতিদিন ভালো আয় করা সম্ভব। সামান্য বিনিয়োগে মুনাফা দ্রুত আসে।

৫৫. শীতকালে গরম পোশাক বিক্রি (সিজনাল ব্যবসা)

জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, মোজা, কম্বল ইত্যাদি শীতকালে প্রচুর বিক্রি হয়। ৫০ হাজার টাকায় পাইকারি কিনে মাঠে বা রাস্তায় বিক্রি করলে দিনে ১০০০+ টাকা আয় সম্ভব।

৫৬. ই-কমার্স প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সার্ভিস

অনেক অনলাইন বিক্রেতা পণ্য প্যাকেজিংয়ের কাজ আউটসোর্স করেন। আপনি একটি ছোট টিম তৈরি করে অনলাইনের পণ্য গুছানো, মোড়ানো ও কুরিয়ার করার সার্ভিস দিতে পারেন।

৫৭. লন্ড্রি ও আউটসোর্সড ইস্ত্রি সার্ভিস

লোকজনের কাপড় বাসা থেকে সংগ্রহ করে লন্ড্রি বা ইস্ত্রি করে ফেরত দেওয়া এমন সার্ভিস অনেক এলাকায় ভালো চলে। ৫০ হাজার টাকায় একটি ইস্ত্রি মেশিন, স্ট্যান্ড এবং ডেলিভারির খরচ মেটানো সম্ভব।

৫৮. পোল্ট্রি ফার্মিং (ছোট পরিসরে মুরগির খামার)

১৫০–২০০টি ব্রয়লার মুরগি কিনে ৪৫ দিনের মধ্যে বিক্রি করা যায়। এই সময়ের মধ্যেই ভালো লাভ উঠে আসে। ৫০ হাজার টাকায় ছোট একটি চালা ও খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

৫৯. কমিউনিটি-ভিত্তিক ছোট লাইব্রেরি বা পড়ার কক্ষ

বই পড়ার আলাদা পরিবেশ তৈরি করে ছাত্রদের সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পড়ার জায়গা ভাড়া দেওয়া যায়। দিনে ২০–৩০ জন ছাত্র থাকলে সহজেই লক্ষ্য পূরণ হয়।

৬০. লোকাল ফ্রুট জুস বা স্মুদি কর্নার

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের জন্য তাজা ফলের জুস, স্মুদি বা ডিটক্স ড্রিঙ্ক বিক্রি একটি লাভজনক উদ্যোগ। ব্যস্ত এলাকায় ছোট একটি স্টল দিয়েই প্রতিদিন প্রচুর বিক্রি করা সম্ভব।

৬১. ফটোশুট সার্ভিস (লোকাল ইভেন্ট ফটোগ্রাফি)

কম দামে একটি DSLR বা স্মার্টফোন ও কয়েকটি লাইটিং এক্সেসরিজ কিনে জন্মদিন, বিয়ে বা ছোট ইভেন্টে ফটোগ্রাফি সার্ভিস দেওয়া যায়। প্রতিটি ইভেন্টে ১,০০০–৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।

৬২. অনলাইন ভিত্তিক হস্তশিল্প (হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট)

জুট, কাপড়, মাটির পণ্য বা হাতে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করা যায়। হস্তশিল্পের জন্য ৫০ হাজার টাকায় কাঁচামাল ও প্রমোশনের খরচ চালানো সম্ভব।

৬৩. বাসায় প্রিন্ট অন ডিমান্ড সার্ভিস (T-shirt, মগ প্রিন্ট)

T-shirt, কফি মগ, কুশন ইত্যাদিতে ডিজাইন প্রিন্ট করে বিক্রির ব্যবসা এখন জনপ্রিয়। হিট প্রেস, প্রিন্টার ও কিছু পণ্য মজুত করে শুরু করা যায়। কাস্টম অর্ডারে লাভ বেশি।

৬৪. অনলাইন বুকশপ বা বুক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম

নতুন ও পুরোনো বই অনলাইনে বিক্রির জন্য পেজ খুলে বুক শপ চালু করা যায়। শিক্ষার্থী ও বইপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হবে। ৫০ হাজার টাকায় বিশাল কালেকশন সংগ্রহ করা যায়।

৬৫. লোকাল ফুড ডেলিভারি সার্ভিস (নিজস্ব এলাকা ভিত্তিক)

বাসাবাড়ির রান্না করা খাবার কিংবা ছোট রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে পার্সেল বা হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করতে পারেন। দিনে ১০-১৫ অর্ডারেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।

৬৬. ছাদ বাগান তৈরির সার্ভিস

শহরে ছাদবাগান এখন অনেক জনপ্রিয়। আপনি পট, সার, মাটি, বীজ দিয়ে প্যাকেজ বানিয়ে ছাদে বাগান তৈরি করে দিতে পারেন। প্রতিটি প্রজেক্টে ১,০০০–৫,০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ নেওয়া যায়।

৬৭. স্ক্রিন প্রিন্টিং ও ব্যানার ডিজাইন সার্ভিস

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য টি-শার্ট, ব্যানার, পোস্টার, ব্যাগ প্রিন্টিংয়ের চাহিদা রয়েছে। ৫০ হাজার টাকায় স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের সরঞ্জাম ও রং কিনে কাজ শুরু করা সম্ভব।

৬৮. স্মার্টফোনে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস

CapCut, VN, Kinemaster ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করে স্মার্টফোন দিয়েই ভিডিও এডিট করে YouTube/Facebook কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

৬৯. হেয়ার কাটিং ও গ্রুমিং সার্ভিস (বাসায় গিয়ে)

গৃহস্থালী নারীদের বা পুরুষদের হেয়ার কাট ও গ্রুমিং সার্ভিস বাসায় গিয়ে দিলে দিনে ১০+ কাস্টমার ম্যানেজ করা সম্ভব। শেভিং কিট, মেশিন ও ট্রিমার নিয়ে শুরু করা যায়।

৭০. প্রয়োজনীয় অ্যাপস ডেভেলপ করে বিক্রি (ফ্রিল্যান্স বা লোকাল)

আপনি যদি অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারেন, তাহলে ছোট দোকান, মাদরাসা, মসজিদ বা ক্লিনিকের জন্য সহজ অ্যাপ বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। দিনে ১টি কাজেই হাজার টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

৭১. চশমা ও এক্সেসরিজ বিক্রি

কম দামে স্টাইলিশ চশমা, সানগ্লাস, চশমার ফ্রেম ইত্যাদি কিনে অনলাইন বা ছোট দোকানে বিক্রি করা যায়। স্টুডেন্ট ও যুবকদের মধ্যে এর ভালো চাহিদা রয়েছে।

৭২. বাসায় কফি কর্নার বা টি-স্টল

ফ্লেভার কফি, গ্রিন টি, দুধ চা, লেমন টি ইত্যাদি দিয়ে একটি ঘরোয়া চায়ের দোকান চালু করা যায়। ৫০ হাজার টাকায় মেশিন, কাপ, কাঁচামাল কিনে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

৭৩. টেইলারিং (ছেলেদের পাঞ্জাবি/শার্ট সেলাই সার্ভিস)

ছোট টেইলারিং ব্যবসা শুরু করে অর্ডারভিত্তিক শার্ট, পাঞ্জাবি তৈরি করে দিনে ৪-৫টি কাজ নিলেই আয় নিশ্চিত। ঈদের সময় এই ব্যবসা অনেক লাভজনক হয়।

৭৪. মোবাইল কাভার, গ্লাস ও এক্সেসরিজ বিক্রি

মোবাইল কভার, স্ক্রিন প্রটেক্টর, হেডফোন ইত্যাদি একসাথে কিনে দোকানে বা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। খুচরা বিক্রিতে লাভ বেশি পাওয়া যায়।

৭৫. ছোট বিউটি পার্লার (মেয়েদের জন্য)

বাসায় বিউটি পার্লার চালু করে পার্লার সার্ভিস দিতে পারেন। ৫০ হাজার টাকায় বিউটি কিট, চেয়ার, আয়না ও দরকারি সামগ্রী কিনে শুরু করা যায়।

৭৬. শিক্ষার্থীদের জন্য প্রিন্ট-ফটোকপি ও স্টেশনারি কর্নার

স্কুল/কলেজের পাশে ছোট প্রিন্টিং ও স্টেশনারি দোকান দিয়ে দিনে বহু কাস্টমার পাওয়া যায়। অল্প সময়ে বিনিয়োগ উঠিয়ে নেওয়া সম্ভব।

৭৭. ফলের দোকান বা ফলের ঝুড়ি অনলাইন বিক্রি

পুষ্টিকর ফল একত্র করে গিফট প্যাক বা রোগীদের জন্য ফলের ঝুড়ি বানিয়ে অনলাইন বা লোকাল বাজারে বিক্রি করুন। লাভজনক ও জনপ্রিয় উদ্যোগ।

৭৮. ইসলামিক গিফট আইটেমস (তসবি, আতর, টুপি)

ছোট একটি ইসলামিক উপহার সামগ্রীর দোকান বা অনলাইন পেজ খুলে তসবি, আতর, জায়নামাজ, হিজাব, টুপি বিক্রি করা যায়। ধর্মীয় উৎসবের সময় চাহিদা বেশি।

৭৯. ই-কমার্স প্যাকেজিং পণ্য তৈরি ও বিক্রি

কার্টন, টেপ, প্যাকেট, বক্স, শপিং ব্যাগ তৈরি করে অনলাইন বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এটি ঘর থেকেই করা যায়, লাভজনক একটি উদ্যোগ।

৮০. টিউশন এজেন্সি/অনলাইন টিউশন প্ল্যাটফর্ম

আপনি নিজে না পড়িয়ে অন্য শিক্ষক বা ছাত্রদের যুক্ত করে অনলাইন টিউশন এজেন্সি চালাতে পারেন। পেমেন্ট থেকে কমিশন নিয়েই ইনকাম নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button