অনলাইন ইনকাম

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম | ছাত্র অবস্থায় আয়ের উপায়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা সহজ ও কার্যকর উপায় হয়ে উঠেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি আয় করার সুযোগ থাকে, তা হলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া অনেক সহজ হয়।

স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরণের অনলাইন কাজ যেমন ফ্রিল্যান্সিং, কন্টেন্ট রাইটিং, অনলাইন টিউটোরিয়াল, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এবং অনেক ধরনের মাইক্রো টাস্ক থেকে আয় করা সম্ভব।

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম | ছাত্র অবস্থায় আয়ের উপায়

অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইনে ইনকাম করতে চায়। নিচে কিছু জনপ্রিয়, নিরাপদ ও কার্যকর অনলাইন ইনকামের উপায় দেওয়া হলো যা স্টুডেন্টদের জন্য উপযোগীঃ

১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং হলো নিজের দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করা। যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটঃ

  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer.com
  • PeoplePerHour

২. অনলাইন টিউশনি

যারা ভালো পড়াতে পারেন তারা অনলাইনেই ক্লাস নিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ

  • Preply
  • Superprof
  • TeachMeNow

বাংলাদেশেও ফেসবুক গ্রুপ বা স্থানীয় প্ল্যাটফর্মে অনলাইন টিউশনি পাওয়া যায়।

৩. কনটেন্ট ক্রিয়েশন (YouTube / Facebook / TikTok)

ভিডিও বানিয়ে YouTube বা Facebook-এ আপলোড করে ইনকাম করা যায়। মনিটাইজেশন, স্পন্সরশিপ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় হয়।

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

কোনো পণ্যের রিভিউ বা লিংক শেয়ার করে বিক্রি হলে কমিশন পাওয়া যায়। উদাহরণঃ

  • Daraz Affiliate
  • Amazon Affiliate
  • ClickBank

৫. ব্লগিং / কনটেন্ট রাইটিং

নিজের ব্লগ খুলে সেখানে লিখে AdSense বা স্পন্সরশিপ থেকে আয় করা যায়। ভালো কনটেন্ট লিখলে আয় বাড়ে। চাইলে অন্যের জন্যও আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়।

৬. অনলাইন সার্ভে ও পিটিসি সাইট

SurveyTime, Timebucks, ySense ইত্যাদিতে ছোট ছোট কাজ বা সার্ভে করে আয় করা যায়। পিটিসি (Paid To Click) সাইট যেমনঃ Scarlet Clicks, NeoBux ইত্যাদি।

৭. ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিং কাজ

অনেক সাইটে সহজ টাইপিং বা ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়, যেমনঃ

  • Microworkers
  • Clickworker
  • Remotasks

৮. কোর্স তৈরি করে বিক্রি

নিজের দক্ষতা নিয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করে Udemy, Skillshare বা 10 Minute School এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।

৯. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আয়

কিছু অ্যাপ যেমনঃ

  • Roamler
  • Google Opinion Rewards
  • Field Agent

এগুলো ব্যবহার করে ছোট কাজ করে ইনকাম করা যায়।

১০. অনলাইন দোকান / রিসেলিং

Facebook Page বা WhatsApp-এ পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। চাইলে Daraz বা Evaly এর মতো সাইটে পণ্য লিস্ট করেও বিক্রি করতে পারেন।

১১. গ্রাফিক ডিজাইন ও লোগো ডিজাইন

যারা Adobe Photoshop, Illustrator বা Canva ব্যবহার করতে পারেন তারা Fiverr বা Upwork এ লোগো, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানার ডিজাইন করে আয় করতে পারেন।

১২. ট্রান্সলেশন (Translation) কাজ

ভাষা জানা থাকলে অনুবাদের কাজ করা যায়। ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন। সাইটসমূহঃ

  • Gengo
  • ProZ
  • Unbabel

১৩. ভয়েস ওভার (Voice Over)

ভালো উচ্চারণ ও কণ্ঠ থাকলে ভয়েস রেকর্ডিং করে আয় করা যায়। এটি ভিডিও নির্মাতা, বিজ্ঞাপনদাতা বা ইউটিউবারদের চাহিদা অনুযায়ী করা হয়।

১৪. ই-বুক লেখা ও বিক্রি

নিজে বই বা গাইড লিখে তা PDF বা eBook আকারে Amazon Kindle Direct Publishing (KDP) বা Google Play Books এ বিক্রি করা যায়।

১৫. ড্রপশিপিং বিজনেস

স্টক না রেখেই বিদেশি পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা যায়। Shopify ও AliExpress এর মাধ্যমে ড্রপশিপিং করে অনেকেই ভালো আয় করছেন।

১৬. রিমোট কাস্টমার সার্ভিস

অনেক বিদেশি কোম্পানি বাসা থেকে কাস্টমার সাপোর্ট দেয় এমন কাজ দেয়। চ্যাট, ইমেইল বা ফোন কলের মাধ্যমে কাস্টমার হেল্প সেবা দিয়ে আয় করা যায়।

১৭. কোডিং ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

যারা প্রোগ্রামিং পারেন তারা ওয়েবসাইট, অ্যাপস তৈরি করে বা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। নিজের অ্যাপ বানিয়ে Play Store এ দিয়েও ইনকাম সম্ভব।

১৮. SEO এবং ডিজিটাল মার্কেটিং

যারা গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), ফেসবুক অ্যাডস, গুগল অ্যাডস ইত্যাদি জানেন তারা অনলাইন মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ লুডু খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

১৯. রিসার্চ বা অ্যাসাইনমেন্ট হেল্প

অন্যান্য স্টুডেন্টদের অ্যাসাইনমেন্ট বা রিসার্চ পেপার বানাতে সাহায্য করে ইনকাম করা যায়। অনেকেই Fiverr বা ব্যক্তিগতভাবে এরকম সেবা দিয়ে থাকেন।

২০. ভর্তি কোচিং বা পরীক্ষার প্রস্তুতি গাইড

যারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, তারা Zoom বা ফাচেবুক এ কোচিং চালু করে আয় করতে পারেন।

২১. ক্যাপচা এন্ট্রি কাজ

যারা টাইপিং স্পিডে ভালো, তারা সহজে ক্যাপচা এন্ট্রি করে ইনকাম করতে পারেন। বিশ্বস্ত সাইটঃ

  • 2Captcha
  • Kolotibablo
  • MegaTypers

২২. পডকাস্ট তৈরি করে আয়

নিজের কণ্ঠে শিক্ষামূলক বা বিনোদনধর্মী পডকাস্ট বানিয়ে Spotify, Anchor.fm বা Apple Podcasts এ আপলোড করে স্পন্সরশিপ ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা যায়।

২৩. স্টক ফটোগ্রাফি বিক্রি

যাদের ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ আছে তারা নিজের তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। সাইটঃ

  • Shutterstock
  • iStock
  • Adobe Stock

২৪. রিভিউ ও ফিডব্যাক লেখা

নতুন অ্যাপ, সাইট বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে রিভিউ বা ফিডব্যাক দিয়ে আয় করা যায়। কিছু মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি এই ধরনের কাজ দেয়।

২৫. মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি

নিজে ডিজাইন করে ডিজিটাল প্রোডাক্ট (যেমন: প্রিন্টেবল, টেমপ্লেট, CV ডিজাইন) Etsy বা Gumroad-এ বিক্রি করা যায়।

২৬. বুক সামারি তৈরি করা

পাঠ্যবই বা নন-ফিকশন বইয়ের সংক্ষিপ্ত সারাংশ (summary) তৈরি করে বিক্রি বা অনলাইনে পোস্ট করে আয় করা সম্ভব।

২৭. ডোমেইন ট্রেডিং

কম দামে ডোমেইন কিনে বেশি দামে বিক্রি করে আয় করা যায়। এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া। সাইটঃ

  • GoDaddy Auctions
  • Flippa

২৮. ভিডিও এডিটিং ও এ্যানিমেশন সার্ভিস

যারা Premiere Pro, After Effects, বা CapCut জানেন তারা ভিডিও এডিটিং সেবা দিতে পারেন ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার বা ছোট ব্যবসার জন্য।

২৯. ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট

অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন ব্যবসা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনার জন্য লোক খোঁজে। এই কাজ শিখে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

৩০. NFT আর্ট বা ডিজিটাল কালেক্টিবল বিক্রি

যারা ডিজিটাল আর্ট বানাতে পারেন তারা NFT তৈরি করে OpenSea বা Rarible-এ বিক্রি করতে পারেন। তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ ও গবেষণা ছাড়া শুরু না করাই ভালো।

৩১. অনলাইন কোর্স রিভিউ লেখা

বিভিন্ন কোর্স প্ল্যাটফর্ম (Udemy, Coursera) তাদের কোর্স সম্পর্কে ফিডব্যাক দিতে ব্যবহারকারীদের টাকা দেয়। এছাড়া নিজে ব্লগে কোর্স রিভিউ লিখেও ইনকাম করা যায়।

৩২. লাইভ স্ট্রিমিং করে আয়

যারা গেম খেলেন বা কোনো টপিক নিয়ে কথা বলতে পারেন, তারা Facebook Live, YouTube Live, বা Twitch এ লাইভ স্ট্রিম করে গিফট, ডোনেশন ও স্পন্সরশিপ পেতে পারেন।

৩৩. অনলাইন বই টাইপিং বা স্ক্যান করা ফর্ম টাইপিং

অনেক সময় পিডিএফ বা ইমেজ থেকে টাইপ করতে হয়। এই টাইপের কাজ Microworkers বা Upwork এর মতো সাইটে পাওয়া যায়।

৩৪. ছোট ব্যবসার জন্য ডিজিটাল ভিজিটিং কার্ড বা ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন

Canva বা Illustrator ব্যবহার করে ভিজিটিং কার্ড, ব্র্যান্ড লোগো, ফেসবুক কাভার ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা যায়।

৩৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

Facebook এ বিয়ে, বাচ্চার জন্মদিন, ওয়েবিনার ইত্যাদির ইভেন্ট ডিজাইন, কভার, পোস্ট ও প্রমোশনের জন্য স্টুডেন্টরা কাজ করতে পারেন।

৩৬. অনলাইন ফোরামে পার্টিসিপেশন

কিছু ওয়েবসাইটে (যেমনঃ ForumCoin, BeerMoneyForum) অংশগ্রহণ বা পোস্ট করে ইনকাম করা যায়।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

৩৭. কোর্স/পাঠদানের YouTube Shorts তৈরি করা

ছোট ছোট শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে Shorts বা Reels আকারে আপলোড করলে দ্রুত দর্শক পাওয়া যায় এবং ইনকাম বাড়ে।

৩৮. AI Tools ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি

AI যেমন ChatGPT, Canva AI, Copy.ai ব্যবহার করে দ্রুত আর্টিকেল, ডিজাইন, বা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

৩৯. স্টুডেন্ট কনসাল্টিং সার্ভিস

যারা বিভিন্ন স্কলারশিপ, ভর্তি পরীক্ষা বা ভিসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন, তারা অন্য শিক্ষার্থীদের গাইড করে ফি নিতে পারেন।

৪০. ডেটা লেবেলিং / AI ট্রেইনিং কাজ

অনেক AI কোম্পানি ডেটা লেবেলিং বা ছবি/টেক্সট ট্যাগিংয়ের জন্য রিমোট কর্মী খোঁজে। সাইটঃ

  • Remotasks
  • Scale AI
  • Toloka

৪১. স্টাডি গাইড বা নোটস বিক্রি

নিজে তৈরি করা পাঠ্যবিষয়ের নোট বা সাজেশন অনলাইনে বিক্রি করা যায়। প্ল্যাটফর্মঃ

  • Stuvia
  • Nexus Notes
  • Notesgen

৪২. পোস্টার ও টি-শার্ট ডিজাইন করে বিক্রি

Redbubble, Teespring, এবং Printful এর মতো POD (Print On Demand) প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন আপলোড করে আয় করা যায়।

৪৩. অনলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

Amazon, Daraz, ClickBank এর মতো সাইটের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে কমিশন আয় করা যায়। ইউটিউব, ফেসবুক বা ব্লগে লিঙ্ক শেয়ার করলেই যথেষ্ট।

৪৪. টেস্টার হিসাবে অ্যাপ বা ওয়েবসাইট পরীক্ষা করে আয়

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট লঞ্চ করার আগে টেস্টার খোঁজে। সাইটঃ

  • UserTesting
  • TryMyUI
  • Testbirds

৪৫. সার্ভে ফিলআপ করে আয়

অনেক মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি অনলাইন সার্ভে করিয়ে টাকা দেয়। সাইটঃ

  • Swagbucks
  • Timebucks
  • Ysense

৪৬. ছোটখাটো স্ক্রিপ্ট বা প্রোগ্রাম তৈরি করে বিক্রি

যারা প্রোগ্রামিং জানেন তারা ছোট অটোমেশন স্ক্রিপ্ট, এক্সেল টেমপ্লেট বা ওয়েব টুল তৈরি করে CodeCanyon বা GitHub Sponsorship এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

৪৭. অনলাইন অ্যাঙ্করিং বা নিউজ পড়া

অনলাইন রেডিও, লাইভ নিউজ, ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েব শো-তে অ্যাঙ্করিং করে পারিশ্রমিক নেওয়া যায়।

৪৮. ভাষা শেখানোর টিউটরিং

যদি আপনি ইংরেজি, আরবি, হিন্দি বা অন্যান্য বিদেশি ভাষায় দক্ষ হন, তাহলে অনলাইন স্টুডেন্টদের শেখাতে পারেন।
প্ল্যাটফর্মঃ

  • iTalki
  • Preply
  • Cambly

৪৯. AI ইমেজ জেনারেশন ও বিক্রি

Midjourney, DALL·E, বা Leonardo AI দিয়ে তৈরি ছবি শাটারস্টক বা ওয়ালপেপার সাইটে বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।

৫০. অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ

অনেক অ্যাপ ও ওয়েবসাইট কুইজ বা ট্রিভিয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে যেখানে অংশগ্রহণ করে টাকা বা পুরস্কার পাওয়া যায়। উদাহরণঃ

  • HQ Trivia
  • SwagIQ
  • Loco (ভারতের অ্যাপ)

৫১. ডিজিটাল ম্যাগাজিন বা ই-বুক প্রকাশ

যেকোনো বিষয় নিয়ে (ছোটগল্প, কবিতা, টিউটোরিয়াল) ই-বুক বা ডিজিটাল ম্যাগাজিন তৈরি করে Amazon Kindle Direct Publishing বা Google Books এ প্রকাশ করা যায়।

৫২. ভয়েসওভার সার্ভিস

যাদের উচ্চারণ স্পষ্ট ও কণ্ঠ ভালো, তারা ভয়েসওভার দিয়ে ভিডিও, বিজ্ঞাপন, অডিওবুক, বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।

৫৩. সিএসভি (CSV), এক্সেল অটোমেশন বা গুগল শিট টেমপ্লেট বিক্রি

অনেক ছোট ব্যবসা ও স্টার্টআপ টুল বানাতে আগ্রহী ছাত্রদের কাজ নেয়। আপনি Excel/Google Sheets দিয়ে স্বয়ংক্রিয় ফাইল তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

৫৪. ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস

ছোট ব্যবসা বা ব্লগারদের জন্য ইমেইল ক্যাম্পেইন তৈরি করে দিতে পারেন Mailchimp, ConvertKit বা Sender.net ব্যবহার করে।

আরও পড়ুনঃ গল্প লেখা সাইটের লিংক টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

৫৫. মেম পেজ বা ট্রেন্ডিং কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম

Facebook, Instagram বা TikTok এ মেম ও ট্রেন্ডিং ভিডিও বানিয়ে Page Monetization, Affiliate বা Sponsorship থেকে আয় করা যায়।

৫৬. ইভেন্ট রেজিস্ট্রেশন বা ফর্ম ডিজাইন সার্ভিস

অনেক কলেজ বা অনলাইন ইভেন্ট গুগল ফর্ম, টাইম টেবিল, RSVP ফর্ম ডিজাইনের জন্য সহায়তা নেয়। এটি ফ্রিল্যান্স হিসেবে করা যায়।

৫৭. ডিজিটাল মার্কেটিং লার্ন করে ক্লায়েন্ট সার্ভিস দেওয়া

SEO, Google Ads, Facebook Boost, বা Content Strategy শিখে বিভিন্ন স্টার্টআপ, অনলাইন ব্যবসার ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিতে পারেন।

৫৮. নিজস্ব সিম্পল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম

আপনার কোনো আইডিয়া থাকলে Appsheet, Glide, বা WordPress দিয়ে অ্যাপ/সাইট বানিয়ে অ্যাড দিয়ে বা প্রিমিয়াম ফিচার বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

৫৯. ক্রিপ্টো রিওয়ার্ড অ্যাপ ব্যবহার করে আয়

কিছু অ্যাপ ব্রাউজ করা, ভিডিও দেখা বা ক্লিকের মাধ্যমে ক্রিপ্টো কয়েন দেয়। যেমনঃ

  • Rollercoin
  • StormGain
  • Freecash

৬০. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশন চালু করা

যারা রেগুলার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেন (নোট, সাজেশন, কোর্স), তারা Gumroad বা Substack এর মাধ্যমে মাসিক সাবস্ক্রিপশন চালু করে ইনকাম করতে পারেন।

৬১. অনলাইন রিজিউম/সিভি ডিজাইন সার্ভিস

Canva, Figma বা Word দিয়ে আকর্ষণীয় সিভি/রিজিউম ডিজাইন করে Fiverr, Facebook Freelancing গ্রুপ বা নিজের পেজে বিক্রি করা যায়।

৬২. ব্লগ ট্রান্সলেশন (অনুবাদ) সার্ভিস

বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন ব্লগ, নিউজ সাইট, বা অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে কাজ করা যায়।

৬৩. AI কনটেন্ট অপটিমাইজেশন সার্ভিস

অনেক ব্লগার AI দিয়ে লেখা কনটেন্ট হিউম্যান টাচে রিভাইজ করাতে চায়। স্টুডেন্টরা Grammarly, Hemingway App ইত্যাদি দিয়ে তা করে দিতে পারেন।

৬৪. অনলাইন কনটেস্টে অংশগ্রহণ

Behance, DesignCrowd, Freelancer-এ ডিজাইন, কনটেন্ট, স্লোগান বা আইডিয়া কনটেস্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতা যায়।

৬৫. ডিজিটাল ফ্লিপিং (Digital Product Reselling)

Fiverr এ অর্ডার নিয়ে অন্য সস্তা ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে মার্জিন রেখে ইনকাম করা যায় (ড্রপ সার্ভিসিং বলা হয়)।

৬৬. বুক সামারি ও অডিও বুক তৈরি করে বিক্রি

Populr বইয়ের সংক্ষিপ্ত সারাংশ বা অডিও ভার্সন তৈরি করে বিক্রি করা যায় ছোট ফেসবুক পেইজ বা সাবস্ক্রিপশন মডেলে।

৬৭. ছবি এডিটিং বা রিমুভ ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস

Remove.bg বা Photoshop দিয়ে প্রফেশনাল ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে অনলাইন ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা যায়।

৬৮. ইউজার জার্নি ডিজাইন ও UI ফিডব্যাক

অনেক অ্যাপ ডেভেলপার নতুন অ্যাপের ইউজার জার্নির উপর ফিডব্যাক চায়। এটি UX বা ডিজাইন লার্নারদের জন্য উপযুক্ত উপায়।

৬৯. ডিজিটাল লাইব্রেরি বানিয়ে সাবস্ক্রিপশন চালু

বিভিন্ন বই, সাজেশন, পিডিএফ, কোর্স নোট দিয়ে একটি Google Drive বা Telegram গ্রুপ খুলে মাসিক সাবস্ক্রিপশন চালু করা যায়।

৭০. অনলাইন মিডিয়াতে স্ক্রিপ্ট রাইটিং

YouTube বা ফেসবুক চ্যানেলের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ পাওয়া যায়, যেখানে কৌতুক, নাটক, রিভিউ বা সংবাদ লেখা হয়।

৭১. কোর্স রিভিউ লেখা ও ইউটিউবে আপলোড

Skillshare, Udemy, বা Coursera এর কোর্সে ভর্তি হয়ে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করলে সাবস্ক্রিপশন ও অ্যাফিলিয়েট ইনকাম আসে।

৭২. অনলাইন শপে ক্যাপশন ও প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা

অনেক ই-কমার্স শপ তাদের প্রোডাক্টের জন্য আকর্ষণীয় ক্যাপশন বা বর্ণনা লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটার খোঁজে। এভাবে সহজে আয় করা যায়।

আরও পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট | অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয়

৭৩. স্টুডেন্ট ক্যাম্পেইন মার্কেটিং

বিভিন্ন এডুকেশনাল অ্যাপ বা কোচিং সেন্টার তাদের প্রোমো প্রচারের জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে ক্যাম্পেইন চালায়, যার বিনিময়ে কমিশন দেওয়া হয়।

৭৪. বুক কভার ডিজাইন

Adobe Express, Canva, বা Photoshop দিয়ে গল্প, উপন্যাস বা ই-বুকের জন্য কভার ডিজাইন করে বিক্রি করা যায়।

৭৫. ওয়েবসাইট UI/UX টেস্টিং করে রিপোর্ট দেওয়া

অনেক ওয়েবসাইট লঞ্চের আগে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যাচাই করতে চায়। ছাত্ররা ফিডব্যাক ও রিপোর্ট দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

৭৬. নিজস্ব অনলাইন কোর্স বানানো (বাংলায়)

আপনি যদি Math, Drawing, English Grammar, বা ICT-তে দক্ষ হন, ভিডিও তৈরি করে Facebook Page বা YouTube এ কোর্স চালু করতে পারেন।

৭৭. স্লোগান ও নামকরণ (Brand Naming) সার্ভিস

অনেক স্টার্টআপ বা পেজ নতুন ব্র্যান্ডের নাম, ট্যাগলাইন বা স্লোগান তৈরির জন্য স্টুডেন্টদের হায়ার করে।

৭৮. লোকাল গাইডিং কনটেন্ট বানিয়ে আয়

আপনার এলাকার দর্শনীয় স্থান, খাবার, ট্রাভেল গাইড নিয়ে ভিডিও/আর্টিকেল তৈরি করে AdSense ও স্পন্সরশিপ ইনকাম করা যায়।

৭৯. চ্যাটবট বা ফেসবুক অটো রিপ্লাই সেটআপ সার্ভিস

Facebook Page এ ManyChat বা Chatfuel দিয়ে অটো রিপ্লাই সেটআপ করে বিভিন্ন বিজনেসকে সার্ভিস দেওয়া যায়।

৮০. পডকাস্ট চালু করে ইনকাম

নিজের পডকাস্ট শুরু করে Anchor.fm বা Spotify তে সাবস্ক্রাইবার বাড়িয়ে স্পন্সরশিপ বা রেক্লাম ইনকাম করা সম্ভব।

৮১. ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করে ইনকাম

নিজস্ব ব্লগ বা নিউজ পেজ খুলে Facebook Instant Article চালু করে ভিউয়ের ভিত্তিতে আয় করা সম্ভব।

৮২. ডিজিটাল পোষ্টার ও ব্যানার ডিজাইন সার্ভিস

ছাত্ররা Canva, Adobe Express বা Photoshop ব্যবহার করে পোষ্টার, ব্যানার ডিজাইন করে স্থানীয় ক্লায়েন্টদের দিতে পারেন।

৮৩. পিডিএফ রিজিউম টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি

ডিজাইন করা রিজিউম বা সিভি টেমপ্লেট PDF ফরম্যাটে Etsy বা Gumroad এ আপলোড করে বিক্রি করা যায়।

৮৪. AI Image Generator Tools ব্যবহার করে বিক্রি

Midjourney, DALL·E বা Leonardo AI দিয়ে বানানো ছবিগুলো ওয়েবসাইট ডিজাইন বা প্রেজেন্টেশনের কাজে বিক্রি করা যায়।

৮৫. ই-কমার্স প্রোডাক্ট ভিডিও রিভিউ বানানো

Daraz, AliExpress বা Amazon থেকে কেনা প্রোডাক্টের ভিডিও রিভিউ বানিয়ে YouTube বা Facebook এ ইনকাম করা যায়।

৮৬. নোট ও সাজেশন শেয়ারিং সাবস্ক্রিপশন চালু

আপনার তৈরি করা পরীক্ষার সাজেশন, ক্লাস নোট বা মডেল টেস্ট গুগল ড্রাইভে রেখে মাসিক ফি নিয়ে শেয়ার করা যায়।

৮৭. ব্লগার বা YouTuber দের জন্য SEO সার্ভিস

ছাত্ররা Yoast SEO, Surfer SEO বা SEMrush দিয়ে কন্টেন্ট অপটিমাইজ করে অন্যের সাইট/ভিডিওর র‍্যাঙ্ক বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন।

৮৮. ওয়েবসাইটে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট দেওয়া

বিদেশি ই-কমার্স বা এডুকেশন সাইটে Part-Time Customer Chat Support Agent হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে।

৮৯. ইংরেজি স্পোকেন ক্লাস চালানো (অনলাইনে)

যারা ইংরেজিতে দক্ষ, তারা Zoom বা Google Meet এ জুনিয়রদের Spoken English শেখানোর ক্লাস নিয়ে আয় করতে পারেন।

৯০. অটোমেটেড রিপোর্ট জেনারেশন সার্ভিস

Google Sheet বা Excel ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের মাসিক রিপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বানিয়ে দেওয়া। ইহা টাকা আয় করার উপযোগী একটি টেকনিক্যাল কাজ।

৯১. প্রেজেন্টেশন স্লাইড ডিজাইন সার্ভিস

PowerPoint বা Google Slides ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন ডিজাইন করে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক বা উদ্যোক্তাদের কাছে বিক্রি করা যায়।

৯২. অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা আয়ে অংশ নেওয়া

Quizizz, Kahoot বা Facebook-ভিত্তিক কুইজ কনটেস্টে অংশ নিয়ে পুরস্কার বা টাকা জেতার সুযোগ আছে।

আরও পড়ুনঃ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা আয় | প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা ইনকাম

৯৩. ডিজিটাল রিজিউমি ওয়েবসাইট বানানো

HTML/CSS বা অনলাইন টুল দিয়ে নিজের রিজিউমি/পোর্টফোলিও সাইট তৈরি করে অন্যদের জন্যও তৈরি করে ইনকাম করা যায়।

৯৪. নোটস টাইপিং সার্ভিস

অনেক শিক্ষক বা শিক্ষার্থী হাতের লেখার নোট টাইপ করে ডিজিটাল ফরম্যাটে চান এই কাজ দিয়ে আয় করা যায়।

৯৫. ই-ম্যাগাজিন তৈরি ও বিক্রি

শিক্ষার্থী, তরুণ লেখক ও ডিজাইনারদের লেখা নিয়ে ডিজিটাল ম্যাগাজিন তৈরি করে ফেসবুক/ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে বিক্রি করা যায়।

৯৬. স্টুডেন্ট কমিউনিটি মডারেটর হিসেবে কাজ

Facebook বা Discord এর বড় বড় স্টুডেন্ট গ্রুপ ও কমিউনিটিতে পেইড মডারেটর বা কনটেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা যায়।

৯৭. কনটেন্ট স্পিনিং বা রি-রাইটিং সার্ভিস

যারা মৌলিক কনটেন্ট তৈরি করতে পারে না, তারা অন্যের কনটেন্ট ঘুরিয়ে লেখার জন্য লেখক ভাড়া করে। এটি একটি ইনকাম সোর্স হতে পারে।

৯৮. ই-বুক অডিও রেকর্ডিং

বিভিন্ন শিক্ষামূলক বা গল্পের ই-বুকের অডিও রেকর্ড করে ক্লায়েন্টদের কাছে পাঠিয়ে ইনকাম করা যায়।

৯৯. ক্যারিকেচার বা ফান আর্ট সার্ভিস

যারা আঁকতে পারেন তারা অনলাইনে ফান আর্ট, ডিজিটাল পোর্ট্রেইট বা ক্যারিকেচার অর্ডার নিয়ে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

১০০. স্টুডেন্টদের জন্য মেন্টরিং বা পরামর্শ সেবা

SSC/HSC পরীক্ষার্থী বা ভার্সিটি অ্যাডমিশন পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন মেন্টরিং সেশন চালু করে Zoom বা Messenger এ ক্লাস নেওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button