অনলাইন ইনকাম

অনলাইন ইনকাম আইডিয়া | ইনকাম আইডিয়া

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইনে আয় করার সুযোগ ব্যাপক। অনলাইন ইনকাম আইডিয়া হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন পদ্ধতি।

ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউব, ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ই-কমার্স এসব মাধ্যম অনেকের জীবিকা পরিবর্তন করেছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রমে অনলাইন ইনকাম সফল হতে পারে।

অনলাইন ইনকাম আইডিয়া | ইনকাম আইডিয়া

নিচে অনলাইন ইনকাম আইডিয়া তুলে ধরা হলোঃ

১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের ধরণ যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক কাজ গ্রহণ করেন। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং,

ডাটা এন্ট্রি কিংবা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট জানেন, তাহলে Fiverr, Upwork, Freelancer.com, PeoplePerHour, Toptal ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

২. ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় (YouTube Monetization)

আপনি যদি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পছন্দ করেন, তাহলে ইউটিউব একটি অসাধারণ ইনকামের মাধ্যম হতে পারে। আপনি চাইলে ভিডিও বানাতে পারেন রান্নার রেসিপি, মজার ভিডিও, অনলাইন টিপস, গেমিং,

টেক রিভিউ, শিক্ষা বা ধর্মীয় আলোচনা নিয়ে। চ্যানেল মনিটাইজেশন অন করলে Google AdSense থেকে ইনকাম হবে, সেই সঙ্গে স্পনসরশিপ ও প্রোডাক্ট রিভিউ থেকেও আয় আসবে।

৩. ব্লগিং এবং অ্যাডসেন্স (Blogging & AdSense)

আপনার যদি লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুলে সেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারেন।

ভিজিটর বাড়লে Google AdSense বা অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে ইনকাম হবে। এছাড়াও, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসর পোস্ট বা নিজের ডিজিটাল পণ্যের মাধ্যমে আয় সম্ভব।

৪. কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing)

বর্তমানে বহু অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্লগাররা নিয়মিত কন্টেন্ট লেখক খোঁজে যারা ইংরেজি বা বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লিখতে পারে।

যদি আপনি নির্ভুল ও মানসম্পন্ন লেখা লিখতে পারেন, তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং একটি ভালো ইনকামের উৎস হতে পারে। Fiverr, Freelancer, iWriter, Textbroker ইত্যাদি সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ পেতে পারেন।

৫. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি

আপনার যদি কোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা থাকে (যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, বা ডিজিটাল মার্কেটিং),

তাহলে আপনি সেই বিষয়ে একটি ভিডিও বা লেখার ভিত্তিক কোর্স তৈরি করে Udemy, Skillshare, Teachable কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের দারুণ উপায়।

৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

এই পদ্ধতিতে আপনি অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা অনলাইনে প্রচার করে কমিশন পান। আপনি Amazon, Daraz, ClickBank, CJ Affiliate, বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে লিংক শেয়ার করলে

কেউ আপনার লিংক দিয়ে কেনাকাটা করলে আপনি কমিশন পাবেন। ব্লগ, ইউটিউব বা ফেসবুক পেজ থেকে এটা ভালো আয় দেয়।

৭. ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ ম্যানেজমেন্ট

বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ পরিচালনার জন্য দক্ষ লোক খোঁজে। আপনি যদি ভালোভাবে কনটেন্ট পোস্ট, কমেন্ট রিপ্লাই এবং গ্রাফিক তৈরিতে দক্ষ হন, তাহলে ফেসবুক পেজ ম্যানেজার বা গ্রুপ মডারেটর হিসেবে আয় করতে পারেন।

৮. মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ইনকাম

অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে টাস্ক পূরণ করে ইনকাম করা যায়। যেমনঃ ক্যাশজিন, রিভারওয়ার্ড, গিফটফিশ, মোবাইল অ্যাড দেখানো, সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি। অনেক অ্যাপ bKash এ টাকা পাঠানোর সুবিধাও দেয়।

৯. ই-কমার্স ব্যবসা বা অনলাইন দোকান

আপনি চাইলে অনলাইনে পণ্য কিনে বা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন Daraz, Bikroy, Facebook Page, অথবা Shopify ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে। ঘরে বসেই পণ্য বিক্রি করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।

১০. ভিও ইনকাম বা ভিডিও ওয়াচিং পেমেন্ট সাইট

বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে ভিডিও দেখলে বা বিজ্ঞাপন দেখলে টাকা দেয়। যেমনঃ Timebucks, Swagbucks, InboxDollars ইত্যাদি। এসব সাইটে PayPal বা Cryptocurrency-এর মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া যায়, আবার কিছু অ্যাপে বিকাশও সাপোর্ট করে।

১১. অনলাইন টিউশন বা ভার্চুয়াল শিক্ষকতা

আপনি যদি গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বা অন্য কোনো বিষয়ে ভালো জানেন, তাহলে অনলাইন টিউশন দিয়ে আয় করতে পারেন।

Zoom, Google Meet, বা Skype এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নিতে পারেন। এছাড়া Preply, Cambly, Chegg Tutors-এর মতো প্ল্যাটফর্মেও শিক্ষক হিসেবে আবেদন করে অনলাইন ইনকাম করা যায়।

১২. ই-বুক লেখা ও বিক্রি

আপনার যদি গল্প, উপন্যাস, শিক্ষা বা গাইডলাইন টাইপ লেখার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি নিজের লেখা ই-বুক Amazon Kindle Direct Publishing (KDP), Google Books বা নিজের সাইটে বিক্রি করতে পারেন। এটি একবার কাজ করলেই বারবার আয় আনার মতো প্যাসিভ ইনকাম সোর্স।

১৩. অনলাইন সার্ভে পূরণ করে আয় (Online Surveys)

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি তাদের পণ্য ও সেবার মান যাচাই করতে ব্যবহারকারীর মতামত নেয়। আপনি Toluna, Swagbucks, TimeBucks, Survey Junkie এর মতো প্ল্যাটফর্মে রেজিস্টার করে সার্ভে পূরণ করে প্রতিবার কয়েক সেন্ট থেকে কয়েক ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।

১৪. স্টক ফটোগ্রাফি বিক্রি

আপনি যদি ছবি তোলা পছন্দ করেন বা ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হন, তাহলে নিজের তোলা ছবি Shutterstock, Adobe Stock, iStock, Freepik ইত্যাদি সাইটে আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিবার কেউ আপনার ছবি ডাউনলোড করলে আপনি অর্থ পাবেন।

১৫. পডকাস্ট চালু করে ইনকাম

আপনি যদি কণ্ঠে জোর পান এবং কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমনঃ শিক্ষা, ধর্ম, প্রযুক্তি, জীবনধারা) কথা বলার আগ্রহ থাকে, তাহলে পডকাস্ট চালু করতে পারেন।

Spotify, Apple Podcast বা Google Podcast এর মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার পডকাস্ট প্রচার করে স্পনসরশিপ ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় সম্ভব।

১৬. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া

আপনার যদি Instagram, Facebook, TikTok বা YouTube এ বড় ফলোয়ার বেস থাকে, তাহলে আপনি ব্র্যান্ড প্রোমোশন, স্পনসর পোস্ট, অ্যাফিলিয়েট লিংক ও প্রোডাক্ট রিভিউর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিং বর্তমানে তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম মাধ্যম।

আরও পড়ুনঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ | ফরেক্স ট্রেডিং হালাল নাকি হারাম

১৭. রিসেলিং বিজনেস (Online Reselling)

আপনি চাইলে কম মূল্যে পণ্য কিনে তা বেশি দামে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। Daraz, Facebook Marketplace, বা WhatsApp Group এর মাধ্যমে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি চাইলে বিভিন্ন পাইকারি পণ্যের ডিলার বা সাপ্লায়ার খুঁজে এনে নিজেই রিসেলার হতে পারেন।

১৮. ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং (Crypto Trading)

যারা ফাইন্যান্স, ইনভেস্টমেন্ট বা অনলাইন মার্কেটিং বোঝেন, তারা Bitcoin, Ethereum বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেড করে লাভ করতে পারেন। তবে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া শুরু না করাই ভালো।

১৯. ডোমেইন বায়িং ও সেলিং (Domain Flipping)

ডোমেইন বায়িং ও সেলিং হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি অল্প দামে ভালো নামের ডোমেইন কিনে রেখে দেন, পরে চাহিদা অনুযায়ী বেশি দামে বিক্রি করেন। GoDaddy, Namecheap বা Sedo-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এ ব্যবসা করা যায়।

২০. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)

অনেক উদ্যোক্তা বা ছোট ব্যবসায়ী তাদের দৈনন্দিন কাজ (ইমেইল চেক, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার সাপোর্ট) পরিচালনার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখে। আপনি Fiverr, Upwork বা Belay ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল খুলে কাজ পেতে পারেন।

২১. ট্রান্সক্রিপশন কাজ (Transcription Jobs)

এই কাজে আপনাকে অডিও বা ভিডিও শুনে তা লিখে টাইপ করতে হয়। যাদের ইংরেজি শ্রবণ ও টাইপিং দক্ষতা ভালো, তাদের জন্য এটি সহজ ও লাভজনক পেশা হতে পারে। Rev, GoTranscript, TranscribeMe এর মতো ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।

২২. ড্রপশিপিং বিজনেস (Dropshipping)

এটি একটি ই-কমার্স ব্যবসা যেখানে আপনাকে নিজের কাছে পণ্য রাখতে হয় না। আপনি অনলাইনে দোকান খুলে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ডার নেন,

আর তৃতীয় পক্ষ সরবরাহকারী (supplier) সেই পণ্য সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দেয়। Shopify, WooCommerce, AliExpress ব্যবহার করে ড্রপশিপিং শুরু করা যায়।

২৩. ফেসবুক মার্কেটিং সার্ভিস

যদি আপনি ফেসবুক অ্যাড, বুস্টিং, পেজ অপ্টিমাইজেশন ও কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বোঝেন, তাহলে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের জন্য ফেসবুক মার্কেটিং সার্ভিস দিতে পারেন। এটি বর্তমানে অনেক ব্যবসার চাহিদাসম্পন্ন অনলাইন সার্ভিস।

২৪. SEO (Search Engine Optimization) সার্ভিস

ওয়েবসাইটগুলো সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেজে আসার জন্য SEO স্পেশালিস্ট নিয়োগ করে। আপনি যদি SEO শেখেন (On-page, Off-page, Technical SEO), তাহলে Fiverr, Upwork, কিংবা সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে চমৎকার আয় করতে পারেন।

২৫. অনলাইন জব রিক্রুটিং বা হেডহান্টিং

যারা HR ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন বা রিক্রুটমেন্ট বোঝেন, তারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার, রিমোট ওয়ার্কার বা পার্টটাইম কর্মী খুঁজে দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন বা চার্জ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

২৬. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি

আপনি যদি ডিজাইন, মিউজিক, প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট, ফন্ট, আইকন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন তৈরি করতে পারেন, তাহলে এগুলো Creative Market, Gumroad, Etsy বা Sellfy তে বিক্রি করতে পারেন। একবার তৈরি করলে দীর্ঘদিন আয় হতে থাকে।

২৭. অডিও বুক তৈরি করে বিক্রি

বই পড়তে বা পড়াতে আগ্রহ থাকলে আপনি অডিও বুক রেকর্ড করে Audible, Amazon বা নিজের সাইটে বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি চমৎকার প্যাসিভ ইনকাম সোর্স।

২৮. গেম লাইভ স্ট্রিমিং (Game Streaming)

আপনি যদি গেম খেলতে ভালো হন, তাহলে Facebook Gaming, YouTube Gaming, বা Twitch-এ লাইভ স্ট্রিমিং করে Viewers থেকে দান (donation), স্পনসর, সাবস্ক্রিপশন ফি ও বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

২৯. অ্যাপ রিভিউ ও বাগ টেস্টিং (App Review & Testing)

বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তাদের অ্যাপস টেস্ট করতে ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট দেয়। আপনি যদি বিভিন্ন অ্যাপ চালিয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন, তাহলে UserTesting, Testbirds, BetaTesting ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে কাজ পেতে পারেন।

৩০. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি চালু করা

আপনার যদি একটি টিম থাকে বা আপনি একাই বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা দিতে পারেন (যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং), তাহলে নিজস্ব ব্র্যান্ডে একটি এজেন্সি খুলে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে বড় অর্ডার নিতে পারেন।

৩১. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি

আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন (যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ভাষা শেখানো, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং), তাহলে ভিডিও কোর্স তৈরি করে Udemy, Skillshare, Teachable বা নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম উৎস, কারণ একবার কোর্স বানিয়ে রাখলে বারবার বিক্রি হয়।

৩২. লাইভ ওয়েবিনার ও ওয়ার্কশপ

আপনার যদি কথা বলার দক্ষতা থাকে, তাহলে Zoom বা Google Meet ব্যবহার করে কোনো একটি বিষয়ে লাইভ ওয়েবিনার বা প্রশিক্ষণ চালু করতে পারেন। এতে অংশগ্রহণকারী থেকে ফি নিয়ে সরাসরি ইনকাম করা যায়।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন 200 টাকা ইনকাম | প্রতিদিন ২০০ টাকা ইনকাম

৩৩. কনটেন্ট রাইটিং (Content Writing)

বাংলা বা ইংরেজিতে লেখার হাত ভালো হলে আপনি ব্লগ, ওয়েবসাইট, প্রোডাক্ট রিভিউ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদির কনটেন্ট লিখে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। Fiverr, Upwork, iWriter বা FreelanceWriting.com এর মাধ্যমে কাজ পাওয়া যায়।

৩৪. সেলফ-পাবলিশড প্রিন্ট অন ডিম্যান্ড বই বিক্রি:

আপনি যদি বই লিখতে ভালো পারেন, তাহলে Amazon KDP বা NotionPress এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রিন্ট অন ডিম্যান্ড মডেলে বই প্রকাশ করে বিক্রি করতে পারেন। এতে প্রিন্ট বা স্টক রাখার দরকার হয় না।

৩৫. সিএনএফ বা কলাম লেখা (Freelance Journalism)

পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ম্যাগাজিনের জন্য মতামতভিত্তিক কলাম, ফিচার বা বিশ্লেষণধর্মী লেখা পাঠিয়ে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়। এটি একজন শিক্ষিত ও চিন্তাশীল লেখকের জন্য ভালো আয়ের সুযোগ।

৩৬. অনলাইন রিসার্চ ও ডেটা সংগ্রহ

বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, মার্কেটিং ফার্ম বা শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে অনলাইন রিসার্চ করে তথ্য সংগ্রহ করে দিতে পারেন।

Google Search, Scholar, বা সরকারি ডেটাবেইস থেকে তথ্য বের করে সাজিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আয় সম্ভব।

৩৭. রেফারাল ইনকাম প্রোগ্রাম

অনেক অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার তাদের ব্যবহারকারী বাড়ানোর জন্য রেফারেল বোনাস দিয়ে থাকে। আপনি যদি ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব বা ব্লগে এসব রেফারেল লিংক শেয়ার করেন, তাহলে প্রতি নতুন ব্যবহারকারী থেকে ইনকাম পেতে পারেন।

৩৮. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন ব্যবসা বা ব্যক্তিত্বের ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বা টুইটার পরিচালনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রয়োজন হয়। আপনি মাসিক বেতন বা পার-পোস্ট ভিত্তিতে এই কাজ থেকে আয় করতে পারেন।

৩৯. ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন (UI Design):

ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ভিজ্যুয়াল ডিজাইন (UI) বানাতে পারেন যদি Adobe XD, Figma বা Sketch ব্যবহার জানেন। এটি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং স্কিল, বিশেষ করে স্টার্টআপ বা সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে।

৪০. রিমোট কাস্টমার সার্ভিস/চ্যাট সাপোর্ট

অনেক ই-কমার্স কোম্পানি বা ওয়েবসাইট ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সাপোর্ট দিতে চায়। আপনি ঘরে বসে তাদের পক্ষে মেসেঞ্জার, ইমেইল বা চ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাহায্য করে ইনকাম করতে পারেন। বিশেষ করে ইংরেজি জানলে আন্তর্জাতিক কাজ পাওয়া সহজ হয়।

৪১. ভয়েসওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ

আপনার কণ্ঠস্বর যদি পরিষ্কার, স্পষ্ট এবং আবেগপ্রবণ হয়, তাহলে ভয়েসওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন, অ্যানিমেশন, ভিডিও টিউটোরিয়াল, অডিও বুক বা মোশন গ্রাফিক্সে ভয়েস দরকার হয়। Fiverr, Voices.com, Bunny Studio এসব প্ল্যাটফর্মে ভয়েস স্যাম্পল আপলোড করে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়।

৪২. অনলাইন কোচিং বা মেন্টরিং

আপনি যদি কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা রাখেন (যেমন: IELTS, প্রোগ্রামিং, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, বিজনেস গ্রোথ), তাহলে ব্যক্তিগতভাবে Zoom/Google Meet এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

এটি হতে পারে ১:১ ভিত্তিক বা ছোট দলভিত্তিক সেশন। সরাসরি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফি নেওয়া যায়।

৪৩. অনলাইন ফটোগ্রাফি বিক্রি (Stock Photography)

আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন, তাহলে তা Shutterstock, iStock, Adobe Stock-এ আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন।

প্রতিবার কেউ আপনার ছবি ডাউনলোড করলে আপনি রয়্যালটি আয় করবেন। ছবি তুলতে মোবাইল ক্যামেরাও ব্যবহার করা যায়, যদি কোয়ালিটি ভালো হয়।

৪৪. NFT ডিজাইন ও ট্রেডিং

নতুন যুগের ডিজিটাল সম্পদ NFT (Non-Fungible Token) ডিজাইন করে OpenSea, Rarible ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। ডিজাইন, কনসেপ্ট আর কল্পনার সমন্বয়ে NFT একটি নতুন ও উদীয়মান ইনকাম মাধ্যম।

৪৫. রিমোট অ্যাডমিন সহকারী (Virtual Assistant)

আপনি যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার ভালো পারেন, তাহলে ছোট কোম্পানি বা উদ্যোক্তাদের সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন।

ইমেইল দেখা, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করা, কাস্টমারকে উত্তর দেওয়া ইত্যাদি কাজ অন্তর্ভুক্ত। এটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জনপ্রিয় ক্যাটাগরি।

৪৬. ব্লগ তৈরি ও গুগল অ্যাডসেন্স ইনকাম

আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন, তাহলে একটি নিজস্ব ব্লগ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রকাশ করুন।

এরপর Google AdSense অ্যাপ্রুভ করিয়ে বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম শুরু করা যায়। প্রতি ভিজিটর থেকে ছোট ছোট ইনকাম হলেও সময়ের সাথে আয় বাড়ে।

৪৭. পডকাস্টিং (Podcasting)

আপনার যদি কোনো বিষয়ে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা মতামত থাকে, তাহলে আপনি অডিও পডকাস্ট শুরু করতে পারেন। Spotify, Apple Podcast, Google Podcast প্ল্যাটফর্মে এটি বিনামূল্যে প্রকাশ করা যায়। Sponsorship, Affiliate Marketing এবং লিসেনার ডোনেশন থেকে ইনকাম করা যায়।

৪৮. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ও প্লে স্টোরে প্রকাশ

আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট জানেন, তাহলে নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে Google Play বা App Store এ আপলোড করে অ্যাডস থেকে আয় করতে পারেন। Game, Tool, Utility, Learning App-এ ভালো আয় হয়।

৪৯. ইউটিউব শর্টস বা রিলস মনিটাইজেশন

আপনি যদি ছোট আকর্ষণীয় ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে YouTube Shorts বা Facebook Reels বানিয়ে ভিউয়ের উপর ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশেও এখন Shorts Fund ও Reel Bonus চালু আছে যা থেকে সরাসরি আয় হয়।

৫০. অনলাইন রিজিউমি ও কভার লেটার তৈরির সার্ভিস

যাদের চাকরির জন্য প্রফেশনাল রিজিউমি দরকার, তাদের জন্য রিজিউমি ও কভার লেটার বানিয়ে দেওয়া একটি চমৎকার সার্ভিস। Canva বা Microsoft Word দিয়ে সুন্দর করে তৈরি করে Fiverr বা সোশ্যাল মিডিয়াতে সার্ভিস বিক্রি করা যায়।

আরও পড়ুনঃ কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন | কাজ না করে ইনকাম প্রতিদিন

৫১. অনলাইন কোর্সের জন্য স্লাইড/পাওয়ারপয়েন্ট ডিজাইন

অনেক শিক্ষক, কোচ বা অনলাইন ট্রেইনার তাদের কোর্সের জন্য প্রফেশনাল স্লাইড বানাতে চান। আপনি PowerPoint, Canva, বা Google Slides দিয়ে আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল স্লাইড বানিয়ে দিতে পারেন। Fiverr, Upwork ছাড়াও সরাসরি ফেসবুক গ্রুপে ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

৫২. মোবাইল ফটোগ্রাফি শেখানো

আপনি যদি মোবাইলে ছবি তোলার কৌশল জানেন, তাহলে সেটি অনলাইন কোর্স আকারে বা Facebook/YouTube লাইভের মাধ্যমে শেখাতে পারেন। আপনি ক্লাসের জন্য ফি নিতে পারেন কিংবা ছবি তোলার মাধ্যমে ইনকাম কৌশলও শিখিয়ে দিতে পারেন।

৫৩. ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং (সতর্কতার সাথে)

যদি আপনি ফিন্যান্স সম্পর্কে জানেন ও বাজার বিশ্লেষণ করতে পারেন, তাহলে আপনি ছোট আকারে ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমনঃ Bitcoin, Ethereum) ট্রেড করতে পারেন। Binance, KuCoin বা OKX ব্যবহার করে ট্রেডিং শুরু করা যায়। তবে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫৪. ডোমেইন কেনা-বেচা (Domain Flipping)

কম দামে জনপ্রিয় শব্দ বা ব্র্যান্ডযোগ্য ডোমেইন কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করে আয় করা যায়। GoDaddy, Namecheap থেকে কিনে Flippa বা Sedo-তে বিক্রয় করতে পারেন। এটি অল্প বিনিয়োগে লাভজনক হতে পারে।

৫৫. অনলাইন সার্ভে ও রিভিউ লেখা

Swagbucks, Toluna, TimeBucks, YouGov এর মতো প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট সার্ভে পূরণ করে ইনকাম করা যায়। এছাড়া নির্ভরযোগ্য রিভিউ প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট/সার্ভিস রিভিউ লিখেও ইনকাম সম্ভব।

৫৬. ই-বুক রাইটিং ও সেলিং

আপনার যদি লেখার দক্ষতা থাকে, তাহলে গল্প, টিপস, গাইড বা শিক্ষামূলক বই লিখে PDF আকারে বিক্রি করতে পারেন। আপনি eBooks বাংলা বা ইংরেজিতে তৈরি করে নিজের ওয়েবসাইট, Facebook Page, কিংবা Google Play Books এ আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন।

৫৭. ডিজিটাল প্ল্যানার বা ওয়ালপেপার বিক্রি

অনেক মানুষ তাদের মোবাইল বা ল্যাপটপে সুন্দর ডিজিটাল প্ল্যানার, ক্যালেন্ডার বা ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে চায়। আপনি Canva দিয়ে এসব ডিজাইন করে Etsy, Gumroad বা আপনার Facebook পেজে বিক্রি করতে পারেন।

৫৮. ফেসবুক অ্যাড রানার (Facebook Ads Manager)

যারা ব্যবসা করেন, তারা অনেক সময় নিজের ফেসবুক অ্যাড পরিচালনা করতে পারেন না। আপনি যদি ফেসবুক অ্যাড সেটআপ, টার্গেটিং ও অপটিমাইজেশন শিখে নেন, তাহলে তাদের হয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৫৯. ভিজ্যুয়াল সিভি (Infographic CV) ডিজাইন

চাকরিপ্রার্থীরা এখন চায় আকর্ষণীয় ও গ্রাফিক্যাল সিভি। আপনি Adobe Illustrator, Canva বা Photoshop ব্যবহার করে সুন্দর ভিজ্যুয়াল রিজিউমি তৈরি করে দিতে পারেন এবং প্রতি ডিজাইনের জন্য ভালো অর্থ নিতে পারেন।

৬০. পেইড ফেসবুক গ্রুপ বা কমিউনিটি চালানো

আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে এক্সপার্ট হন (যেমন ইংরেজি শেখা, অনলাইন আয়, প্রোগ্রামিং, ফিটনেস), তাহলে একটি প্রাইভেট ফেসবুক গ্রুপ চালু করে সদস্যদের থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন। আপনি এক্সক্লুসিভ পোস্ট, লাইভ ক্লাস, ই-বুক বা সহায়তা দিয়ে গ্রুপকে মূল্যবান করে তুলবেন।

৬১. লাইভ স্ট্রিমিং (Live Streaming)

যদি আপনার গেম খেলা, আলোচনা, গান গাওয়া বা অন্য কোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করার দক্ষতা থাকে, তাহলে Twitch, YouTube বা Facebook Live এ স্ট্রিমিং শুরু করতে পারেন। আপনার ভিউয়ারদের থেকে ডোনেশন বা সাবস্ক্রিপশন আয়ের মাধ্যমে আয় হতে পারে।

৬২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনি যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট চালান, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রোমোট করে কমিশন উপার্জন করতে পারেন। Amazon Associates, ClickBank, বা Commission Junction-এর মাধ্যমে আপনিও অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন।

৬৩. ড্রপশিপিং (Dropshipping)

এটি একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি একটি অনলাইন স্টোর চালান, কিন্তু পণ্যগুলো সরাসরি কারখানা বা হোলসেলার থেকে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয়। Shopify, Oberlo, WooCommerce এ ড্রপশিপিং শুরু করে আপনি প্রোফিট পেতে পারেন।

৬৪. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার

আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা ইউটিউব-এ ভালো ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার তৈরি করতে পারেন, তাহলে ব্র্যান্ডের থেকে স্পনসরশিপ বা প্রোডাক্ট রিভিউ করে ইনকাম করতে পারেন। জনপ্রিয় হতে পারলে এক্সক্লুসিভ ডিল এবং পার্টনারশিপের সুযোগও থাকে।

৬৫. ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন দিক (যেমন: এসইও, পিপিসি, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং) জানেন, তাহলে আপনি এই পরিষেবা বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য প্রদান করতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বা গুগল অ্যাডওয়ার্ড ক্যাম্পেইন চালানো জনপ্রিয় সার্ভিস।

৬৬. ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশন

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা অ্যানিমেশন সফটওয়্যার জানেন (যেমন: Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro, After Effects), তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস অফার করতে পারেন।

৬৭. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট

যদি আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট জানেন, তাহলে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারেন।

WordPress, Wix, Squarespace, অথবা custom-coded ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে আপনি ফি নিতে পারেন।

৬৮. ফ্রিল্যান্স ক্যাটারিং বা কোর্স

যারা রান্নার প্রতি আগ্রহী, তারা অনলাইন কোর্স তৈরি করে বা ফ্রিল্যান্স ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারেন। আপনি YouTube বা Instagram এ রান্নার টিপস শেয়ার করতে পারেন অথবা Zoom এর মাধ্যমে ক্লাস নিতে পারেন।

৬৯. ইন্টারনেট রিসার্চ

অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার জন্য বাজার গবেষণা বা অন্য তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। আপনি ওয়েবসাইট থেকে ডেটা বের করে তাদের উপযোগী করে দিতে পারেন। এটি একটি ছোট আকারের ফ্রিল্যান্স কাজ, তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে চাহিদা রয়েছে।

৭০. গেস্ট পোস্টিং

আপনি যদি ভালো ব্লগিং বা কনটেন্ট লেখার দক্ষতা রাখেন, তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট গেস্ট পোস্ট লেখার জন্য অর্থ প্রদান করে, বিশেষত যাদের ট্রাফিক বেশি।

আরও পড়ুনঃ কোনো ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট | ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

৭১. কনটেন্ট রিপারপোজিং সার্ভিস

অনেক ইউটিউবার বা ব্লগার চান তাদের কনটেন্ট থেকে ছোট ক্লিপ, Instagram রিল, বা Pinterest পোস্ট তৈরি করতে।

আপনি একটি বড় ভিডিও বা ব্লগ থেকে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট বানিয়ে দিয়ে আয় করতে পারেন। এটি কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয় একটি শাখা।

৭২. সেলস ফানেল ডিজাইন

অনলাইন বিজনেসগুলো বিক্রয় বাড়ানোর জন্য সেলস ফানেল ব্যবহার করে। আপনি যদি ClickFunnels, Systeme.io বা WordPress দিয়ে সেলস ফানেল বানাতে জানেন, তাহলে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ নিতে পারেন।

৭৩. ভয়েসওভার সার্ভিস

আপনার কণ্ঠ যদি ভালো হয়, তাহলে ভয়েসওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। ভিডিও বিজ্ঞাপন, অ্যানিমেশন, টিউটোরিয়াল ভিডিও কিংবা অডিওবুকের জন্য ভয়েস রেকর্ড করে ইনকাম সম্ভব। Fiverr ও Voices.com হলো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

৭৪. সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ/গ্রুপ গ্রোথ সার্ভিস

অনেক ব্যবসা তাদের ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ দ্রুত জনপ্রিয় করতে চায়। আপনি যদি কৌশলগতভাবে কনটেন্ট পোস্টিং ও এঙ্গেজমেন্ট বাড়াতে পারেন, তাহলে তাদের পেইজ ম্যানেজ করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

৭৫. ইমেইল মার্কেটিং সেটআপ

Mailchimp, ConvertKit, GetResponse এর মতো টুল ব্যবহার করে অনলাইন দোকান বা কোর্স সেলারদের জন্য ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ও মার্কেটিং অটোমেশন সেটআপ করে দিয়ে আয় করতে পারেন।

৭৬. স্মার্টফোন অ্যাপ রিভিউ লেখা বা ভিডিও তৈরি

নতুন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপ প্রচারের জন্য রিভিউ ভিডিও বা আর্টিকেল চায়। আপনি YouTube বা ব্লগে অ্যাপ রিভিউ দিয়ে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম অথবা স্পনসরশিপ ইনকাম করতে পারেন।

৭৭. কাস্টম ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানানো (T-shirt design, mugs, posters)

Canva বা Photoshop দিয়ে ডিজিটাল ডিজাইন তৈরি করে আপনি Redbubble, Teespring, বা Printful-এর মাধ্যমে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ক্রেতা পণ্য অর্ডার করলেই কোম্পানি প্রিন্ট করে পাঠাবে, আপনি কমিশন পাবেন।

৭৮. অনলাইন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালানো

যদি আপনি একাধিক কোর্স তৈরি করতে পারেন (যেমন: ফ্রিল্যান্সিং, ইংরেজি, ডিজাইন, কোডিং), তাহলে নিজস্ব অনলাইন ইনস্টিটিউট বানিয়ে সাবস্ক্রিপশন বা কোর্স ফি নিতে পারেন। অনলাইনে এমন প্রতিষ্ঠান এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

৭৯. ইউটিউব অটোমেশন চ্যানেল

নিজে ক্যামেরার সামনে না এসে অন্যের কণ্ঠ ও ভিডিও এডিটিং ব্যবহার করে ইনফো ভিডিও, শীর্ষ ১০, নিউজ বা রিভিউ ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল চালাতে পারেন। ইনকাম হবে মনিটাইজেশন ও স্পনসর থেকে।

৮০. কনটেন্ট অপটিমাইজেশন সার্ভিস (SEO Friendly বানানো)

অনেক ব্লগার বা ওয়েবসাইট মালিক তাদের লেখা কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব করতে চায়। আপনি তাদের জন্য SEO কীওয়ার্ড অ্যাড করে, হেডিং ঠিক করে, ইমেজ অপটিমাইজ করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

৮১. অনলাইন রিজিউমি/সিভি রাইটিং সার্ভিস

অনেক চাকরি প্রার্থীরা তাদের সিভি বা রিজিউমি আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করতে পারেন না। আপনি যদি পেশাগতভাবে সিভি তৈরি করতে পারেন, তবে Fiverr, LinkedIn বা Facebook Group থেকে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।

৮২. ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি ওয়েবসাইটের থিম বা ডিজাইন কাস্টমাইজ করতে পারেন HTML/CSS/Javascript ও Elementor দিয়ে। এটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে খুব জনপ্রিয় সার্ভিস।

৮৩. অনলাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন সার্ভিস

যদি আপনি দুই বা ততোধিক ভাষায় দক্ষ হন (যেমন ইংরেজি, বাংলা, ইংরেজি, আরবি), তাহলে অনুবাদের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। TranslatorsCafe, Gengo, ProZ হলো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

৮৪. রিভিউ রাইটিং ও ব্লগ কমেন্টিং

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পণ্যের বা সার্ভিসের রিভিউ লিখে এবং ব্লগ পোস্টে কমেন্ট করে অনেকে ইনকাম করেন। এইসব কাজ Microworkers বা RapidWorkers এর মতো সাইটে পাওয়া যায়।

৮৫. ই-কমার্স কনসালটিং

অনেকে Shopify, WooCommerce বা Daraz এ দোকান খুলতে চায়, কিন্তু জানে না কীভাবে শুরু করতে হয়। আপনি তাদের জন্য স্টোর সেটআপ, পণ্য লিস্টিং, মার্কেটিং কৌশল প্রস্তাব দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ কুইজ খেলে টাকা ইনকাম app | কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

৮৬. YouTube Shorts বা TikTok ভিডিও বানিয়ে ইনকাম

ছোট আকৃতির ভিডিও বানিয়ে স্পনসর, অ্যাফিলিয়েট লিংক ও ইউটিউব মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করা যায়। কম সময়ে ভাইরাল হবার সুযোগ থাকে।

৮৭. Canva বা Adobe Template ডিজাইন

আপনি Canva, PowerPoint বা Adobe-এর টেমপ্লেট বানিয়ে Etsy, Creative Market বা Gumroad এ বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যম।

৮৮. অনলাইন স্লাইড প্রেজেন্টেশন বানানো

PowerPoint, Google Slides, অথবা Canva দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করে দিতে পারেন। Fiverr বা Upwork এ এই সার্ভিসের চাহিদা রয়েছে।

৮৯. পডকাস্ট তৈরি ও স্পনসরশিপ আয়

নিজস্ব পডকাস্ট তৈরি করে Spotify, Apple Podcasts এ আপলোড করলে মনিটাইজেশন ও স্পনসর পাওয়া যায়। শিক্ষা, লাইফস্টাইল বা গল্পভিত্তিক পডকাস্ট জনপ্রিয়।

৯০. টাইপিং বা ক্যাপচা এন্ট্রি জব

Typers, 2Captcha বা Kolotibablo এর মতো সাইটে ক্যাপচা পূরণ বা সহজ টাইপিংয়ের কাজ করে প্রতিদিন কিছু ইনকাম করা সম্ভব। আয় কম হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে উপকারী।

৯১. অনলাইন বট তৈরি ও বিক্রি (Chatbot/Automation Bot)

Messenger Bot, Telegram Bot বা ওয়েবসাইট চ্যাটবট তৈরি করে আপনি প্রতিষ্ঠানকে স্বয়ংক্রিয় গ্রাহকসেবা দিতে সাহায্য করতে পারেন এবং সার্ভিসের বিনিময়ে টাকা নিতে পারেন।

৯২. অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালানো

নিজস্ব লোকাল বা বিষয়ভিত্তিক নিউজ সাইট বানিয়ে Google AdSense ও স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় করা যায়। একে প্যাসিভ ইনকামের উৎসও বলা যায়।

৯৩. ফেসবুক বা ইউটিউব পেইজ/চ্যানেল বিক্রি

বেশ কিছু ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার পেলে আপনি নিজের তৈরি পেইজ বা চ্যানেল বিক্রি করতে পারেন। অনেক উদ্যোক্তা প্রস্তুত চ্যানেল কিনে কাজ শুরু করতে চায়।

৯৪. ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কন্ট্রিবিউশন ও স্পনসর

GitHub বা অন্যান্য ওপেন সোর্স প্রজেক্টে অবদান রাখলে কোম্পানিগুলো স্পনসর করে। আপনি ডেভেলপার হলে এটি হতে পারে সম্মানজনক ও লাভজনক একটি পন্থা।

৯৫. অনলাইন ম্যাগাজিন বা সাহিত্য পোর্টাল চালানো

কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশ করে স্পনসর, অ্যাড বা সাবস্ক্রিপশন ফি-এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। শিক্ষিত পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

৯৬. API ডেভেলপমেন্ট ও বিক্রি

আপনি যদি কোডিং জানেন, তাহলে নিজস্ব API তৈরি করে RapidAPI, API Marketplace-এ বিক্রি করতে পারেন। SaaS ব্যবসার জন্য এটি একটি চমৎকার পথ।

৯৭. ওয়েব রিসেলার হোস্টিং ব্যবসা

আপনি হোস্টিং কোম্পানি থেকে রিসেলার অ্যাকাউন্ট নিয়ে নিজে হোস্টিং বিক্রি করতে পারেন। WordPress ডেভেলপারদের মাঝে এই ব্যবসা জনপ্রিয়।

আরও পড়ুনঃ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়

৯৮. অনলাইন গেম অ্যাপ তৈরি ও বিজ্ঞাপন ইনকাম

মোবাইল গেম বানিয়ে Google Play Store এ আপলোড করে আপনি AdMob এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। সহজ গেম হলেও প্রচুর ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

৯৯. Virtual Assistant (VA) হিসেবে কাজ

ব্যবসায়ীরা অনেক সময় ভার্চুয়াল সহকারী খোঁজে যিনি তাদের সময়সূচি, ইমেইল, ফাইল অর্গানাইজ করে দিবে। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা আছে।

১০০. স্কিল বেইজড মেম্বারশিপ সাইট চালানো

আপনার স্কিলভিত্তিক শিক্ষামূলক বা সাপোর্ট ভিত্তিক একটি মেম্বারশিপ ওয়েবসাইট চালিয়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি আদায় করে আয় করতে পারেন। যেমন: কোডিং শেখানো, ফটোগ্রাফি, মার্কেটিং ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button